বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

কাজীর বিচার কবে হবে মা / ভবেশ বসু


আমি মাঝেমধ্যে নিষিদ্ধ হয়ে যাই
আঁধারে দেহটা তুলে ধরি----পোশাক ছাড়া আমার শরীরে শোনা যায় কামনাহীন বাসনা
বেশ্যা হতে সাহস লাগে---জ্যোৎন্নার আলোকে নগ্নতাগুলি শিকারীর মতো মুখভঙ্গি
সে সময় মরে যায় প্রদীপ,গীত এবং অশ্রু
আমি মনে করতে থাকি কাল মৃত্যু কখন এসেছিল আমার এবং অন্ধত্ব
তারপর ঝাঁপিয়ে পড়ি বাঘের মতো-----পুরুষ মানুষটা নিমেষেই শিব হয়ে যায়
পদতলে পড়ে থাকে শব হয়ে,একদম নিস্তব্ধ।

আমি মাঝেমধ্যে কাননের ফুল হই
তোমাদের সংবাদটি লিখে রাখি সাজির ভিতর----দেবতা কখনো দেখিনি
অশ্রু নিয়ে ঢুকে অশ্রুমোচন করবো বলে মন্ত্রপাঠ করি
তারপর একটি মানুষের জন্য মানুষ ----একটি দেবতার জন্য দেবতা
বলতে থাকি কেউ নিদ্রায় থেকো না
শব কেন হবে----এত সকালের বাগান থাকতে কেন তুমি ঝুরঝুর করে ঝরে যাও।

রাজা চাইছে নারী তুমি বেশ্যা হও
আর পুরুষ শব হয়ে শিবের পূজো নাও
পুরুষ নারী গলার মালা হলে সমাজ গন্ধ নেবে আর আতরদানিতে পিক
কেউ কি নেই বলবে,আমি উলঙ্গ প্রজা নয়----আমি আতরদানিও নয়
আমি এসেছি---বারবার আসছি---এইমাত্র এলাম আবারও 
আজ সাজির হাতে কাজীর বিচার হবে !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আলতো করে পাতো কান / আমির হামজা

শব্দের বাঁকা পথ জানান দেবে গভীরতা কত শুধু একটু টোকা দাও কান পেতে শুনো —প্রতিধ্বনি সিঁথি টানা  সোনামুখি ধানগাছ —উত্তর দক্ষিণে দোলন উন্মাদ বকে...